শাশ্বত পুষ্প
—মোবায়দুল সাগর
"ময়লা কাঁথা-বালিশ, জরাজীর্ণ চাদর,
ভাঙ্গা ছবিখানা এখনো আছে মেঝেতে পড়ে।
আমি খুঁজে চলেছি এখনো তবুও নেই কোনো খবর,
ধূসর বালির কেয়াবাগানে পরিযায়ী পাখি যাচ্ছে উড়ে।
কোনো বার্তাবাহক আসেনি হঠাৎ - পেয়েছি বিষাদ সাগর,
দেখেছি কত যুগল পরদেশী নন্দনকানন এসেছে ঘুরে।
ছন্নছাড়া বৃষ্টির ছড়িয়ে পড়া সোঁদা গন্ধের আতর,
যদি হয় তাও বিলাসী তবে শ্রেয় এই ঘর কুড়ে।
আরশোলা ভরা শাড়ির ঐ আলমারি,
তাম্র-রৌপ্যের অলঙ্কার আমি ঘষেছি টক জলে।
ধার্তি মাঝে বিলীন হয়েছে শখের রঙ্গিন হাড়ি,
পুড়েছে বুক-কলিজা-সুখ,উদর পুজো হয়েছে পোড়া চালে।
ইঁদুরে কেটেছে পুস্তক চিন্তা কেটেছে মস্তক সব ছাড়ি,
বিষের কাঁটা সারা অঙ্গে যেন নাচছি তুর্কি তালে।
ছিল কি এমন অভিলাষ যা দিল এই পথ পাড়ি,
কোন আড়ঙে হারিয়েছিল শাশ্বত পুষ্প কানের দুলে?
দরাজে পড়ে আছে ধূলোয় ভরা কাব্যের ডায়েরী,
ঐতিহাসিক দর্শন প্রথম তোমার - লিখেছি হাজার পাতায়।
কন্ঠ ভাঙ্গা কর্কশ সুরে যেন কোকিল ডাকে অদ্ভুত শায়েরী,
বিচলিত প্রাণ ফিরে পায় আবার জাদু মাখা গায়কী কথায়।
আজও মনে পড়ে সেই গোলাপ - যা ছিল সবচেয়ে পেয়ারী,
খোলা আছে সকল দুয়ার - আমি নেই, আমি আছি দোয়ায়।
অশ্রু সিক্ত আঁখি দু'টি আর কখনো প্রার্থনা করে না দুয়ারী,
সাধ্য ছিল অসাধ্য নয় - যা গেছে তা সবকিছু গ্রীষ্মের খরায়।"
ট্যাগ:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন