কিভাবে ভাঙ্গব অদৃশ্য এ বাঁধন
মেঘমালাও নয় তো সদা চিরন্তন।
হারিয়ে যাওয়া কোনো এক অচেনা শহরে
নগ্ন পায়ে-নগ্ন গায়ে খুঁজব সেই বহরে।
ভাঙ্গা-গড়ার খেলা জন্ম-মৃত্যুরও উর্ধ্বে
চুরমার হয়ে যাবে বিদ্রোহ হবে কার বিরুদ্ধে।
কেরোসিন প্রদীপ নিয়ে তালাশ কিসের
হাজার জোনাকি খুন হদিস নেই লাশের।
কোন বন্ধন চিরঞ্জীব নেই কোনো কারসাজি
খুন হয়নি জোনাকি হয়েছে প্রকৃতি এ কার বাজি।
যখন মিছিল করবে জলফড়িং-এরা ঘাসে-ঘাসে
তখন অদৃশ্য বাঁধন মজবুত হবে পৃথিবীর পাশে-পাশে।
প্রকৃতিকে দমিয়ে কিসের নেশায়
জলফড়িংদের খুন করে বেঁচে রবো সেই আশায়।
আমাকে খুনী বলে আখ্যা দিয়ে কি লাভ
অদৃশ্য বাঁধনে যে পড়েছে সে করতে পারে সব।
কোন ঠিকানায় আসে চিঠি কোথায় তার সীমানা
কেন মাঝ দুপুরে গান ধরল হলুদিয়া কি তার কামনা।
রাত আরও গভীর হলে ঘুমন্ত হলুদিয়া
সেও কি স্বপ্নে বিভোর থাকে না-কি যায় কাঁদিয়া।
যদি সে উচ্চস্বরে আবার গান ধরে তবে
অদৃশ্য বাঁধন হবে চিরন্তন থাকবে চিরতরে।
যত সম্ভব সময় আর নেই খুন হবে সেও
চুরমার হয়ে যাবে বিদ্রোহ করবে সেও।
এক বিস্তীর্ণ মাঠ পরে কাঙ্ক্ষিত ঠিকানা
হয়েছে আন্দোলন হাজার চিঠির তা যে অজানা।
ওই আন্দোলনে হয়েছে অদৃশ্য বাঁধন চিরকালের
বিদ্রোহী চিঠিগুলোর মহড়া ছিল অনন্তকালের।
দাবানলে পুড়িয়ে দেবো অসবুজ চিঠিগুলো
অদৃশ্য বাঁধন ভাঙ্গব—ভেঙ্গে দেবো সব বাঁধনগুলো।
১৯-০২-২০২১
আলাদাৎপুর, নড়াইল।
ট্যাগ:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন