পাখিরা জাতহীন
          —মোবায়দুল সাগর

কালো মেঘের উপর ঘাসগুলো আরও সবুজ হয়ে আসছে।
মৃত্তিকা যেন বাষ্পায়িত হয়ে বর্ষা নামানোর অপেক্ষায়।
এক চিমটি রোদ ফুজি পর্বতের মাথায় উঁকি দিয়ে পুনরায়
নর্ডিকের তুষারে ঢাকা পাইন গাছের শাখা ভেঙ্গে যেন
এক দৈত্যকার ছায়া সৃষ্টিতে মেতেছে। 
ভয়ানক! খুব ভয়ানক যেন কলিঙ্গ যুদ্ধের ভয়াবহতা দেখে
অশোকের বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহন। 
পাখিরা জাতহীন, আমিও। 
কেয়ামত বলো আর মহাপ্রলয় বলো- আমার ধর্ম নেই।
আমি সম্রাট অশোক নই। আমি গৌতম, মহাবীর, কনফুসিয়াস।
দুঃখের খোঁজে বেরিয়ে হঠাৎ মৃতদেহের সৎকারে চন্দনকাঠ 
পুড়িয়ে তাকে স্বর্গের বাসিন্দা হতে দেইনিস্বর্গ বলে কিছু নেই। 
দুঃখ খুঁজেছিখুঁজে পাইনি। কোথায় দুঃখ? আমাকে দুঃখ দাও
এক মহাকাশ দুঃখ দাও। সুখের তৃপ্তিতে ঢেকুর তুলে ভাসিয়ে দিয়েছি
ধর্ম-বর্ণ-জাত। ওশেনিয়ার নাম না জানা দ্বীপের অসভ্য মানুষগুলো 
যারা জানে না বিজ্ঞান, চেনে না নিউটন-আইনস্টাইন হাতের স্মার্টফোনটিও।
তাদেরও তো ধর্ম আছে, মহাপুরুষ আছে। তোমার ধর্মের এত বড়াই কেন?


০৭-০৩-২০২২
জয়দেবপুর, গাজীপুর। 




ট্যাগ:

জীবনবোধের কবিতা   দেশাত্মবোধক কবিতা   ধর্মীয় চেতনার কবিতা প্রকৃতির কবিতা প্রতিবাদী কবিতা প্রেমের কবিতা বিবিধ কবিতা বিরহের কবিতা মানবতাবাদী কবিতা রূপক কবিতা   রম্য কবিতা   শিশুতোষ ছড়া-কবিতা চতুর্দশপদী কবিতা সনেট কবিতা মহাকাব্য ছন্দবৃত্ত কবিতা মাত্রাবৃত্ত কবিতা অক্ষরবৃত্ত কবিতা পদ্য-গদ্য গল্প সাহিত্য উপন্যাস বিখ্যাত কবিতা ছোট কবিতা নতুন কবিতা ভালো বাংলা কবিতা আনকমন কবিতা বিরহের কবিতা কবিতা বাংলা জীবনমুখী কবিতা উপন্যাস কি আত্মজীবনীমূলক উপন্যাস উপন্যাস কত প্রকার বাংলা উপন্যাসের ইতিহাস জনপ্রিয় উপন্যাস বাংলা উপন্যাসের উদ্ভব ও বিকাশ ঐতিহাসিক উপন্যাস বাংলা উপন্যাসের ধারা শিক্ষনীয় গল্প হাসির গল্প বাংলা গল্প গল্প  রোমান্টিক জীবনের গল্প ভালো গল্প ছোট গল্প ডাইনি গল্প




















 

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন